আপনার শরীরে পরিবর্তন
২৯ সপ্তাহ - কি হোতে পারে
রোগ সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতন হবার জন্যে আপনার শরীরে কি পরিবর্তন হচ্ছে জানুন - আপনার প্রসবের দিন এগিয়ে আসছে , আপনি একই সাথে উত্তেজনা এবং উৎকণ্ঠা বোধ করছেন , সহজে হাঁপিয়ে উঠছেন রাতে বার বার বাথরুম যেতে উঠতে হচ্ছে , পায়ের পেশিতে টান ধরছে , এসব কারণে ভালো মতো ঘুম হচ্ছে না | এ সময় প্রস্রাব জনিত রোগসংক্রমণের প্রবণতা বেশি থাকে | আপনার সহজাত ভারসাম্য মাঝে মাঝে হারিয়ে ফেলছেন , পা টলমল করছে , হটাৎ হোঁচট খাচ্ছেন | আপনার স্তনে কখনো কখনো জলীয় নিঃসরণ লক্ষ্য করছেন |
গর্ভে সন্তান বৃদ্ধি
কত টা বাড়লো
এখন শিশুটি মাপে একটি ফুলকপির সমান লম্বায় প্রায় ৩৮ সেন্টিমিটার ওজন ১ কিলো ২০০ গ্রাম |
আপনার গর্ভে সন্তান বিকাশ
বিকাশ
শিশুটি র গঠন এখন সম্পূর্ণ , অঙ্গ প্রত্যঙ্গ র বিকাশ সম্পূর্ণ হাড় গুলি শক্ত হচ্ছে পেশী গুলি মজবুত হচ্ছে , শিশুটি র সক্রিয়তা বাড়ছে , ঘুমের মধ্যে মাঝে মাঝে হাসছে !
শরীর আর মনের যত্ন
পরামর্শ (টিপস)
- ভেরিকোস ভেইন বা পায়ের শিরা সংক্রান্ত উপসর্গ থেকে রেহাই পেতে বেশিক্ষন একভাবে বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না পেট পরিষ্কার রাখতে ফাইবার যুক্ত খাবার খাবেন
- গর্ভাবস্থায় কি কি রোগসংক্রমণ থেকে সাবধানে থাকবেন সে বিষয় জেনে রাখুন
- প্রসব এবং শিশু জন্মানোর সময় কি কি হতে পারে সেগুলি সম্পর্কে জেনে রাখুন , হাসপাতালে আপনাকে কিভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে এবং কি ধরণের অভিজ্ঞতা আশা করতে পারেন সেগুলি সম্পর্কে জেনে রাখুন
- আপনার অনুভূতি সম্পর্কে কথা বলুন , আপনার নিকট আত্মীয় বন্ধুর সাথে মনের দুঃখ , ভালো লাগা , বা ভালো না লাগা গুলি খুলে বলুন , এসময় আপনি যে মানুষ গুলি কে হারিয়েছেন তাদের নিয়ে অনুভূতিশীল হয়ে পড়া টা খুব স্বাভাবিক |
ডাক্তারের পরামর্শ নিন
জিজ্ঞেষ করেন
- আমি খুব অনুভূতিশীল হয়ে পড়ছি , কি করবো ?
- আমার শিশুর নড়াচড়া স্বাভাবিক হচ্ছে কি ?
- প্রসবের সময় হাসপাতালে আমায় কি কি করতে হবে ?
- রোগসংক্রমন থেকে সুরক্ষার জন্য কোনো টিকা নেওয়ার দরকার আছে কি ?
- বাথরুম এ প্রস্রাবের সময় জ্বালা বোধ করছি , তলপেটে ব্যাথা হচ্ছে , প্রস্রাব এর রং গাঢ় এবং গন্ধ রয়েছে, শরীর ভালো লাগছে না , কি করলে ভালো হবে ?
কর্ম তালিকা
পয়েন্টস
- খোঁজ নিন কোন টিকা গুলি গর্ভাবস্থায় রোগ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে পারে
- ডাক্তারের কাছে প্রসব পূর্ব পরীক্ষা এবং পরামর্শ নিতে ভুলবেন না
- আপনার স্বামীর সাথে প্রসবকালীন ব্যবস্থা ও শিশু র জন্মের সময় কি ব্যবস্থা, কি প্রস্তুতি নেবেন সে বিষয় আলোচনা করুন
- আপনার মা এবং নিকট বন্ধুর সাথে আপনার মনের অবস্থা খোলাখুলি আলোচনা করুন
গর্ভবতী মহিলাদের কীভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হয়, তা শিখতে সহায়তা করার জন্য সপ্তাহে একবার কুশল কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
আপনার মনে কী এই প্রশ্ন এসেছে ?
কেন আমি বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ছি?
"আমি যেনো আবেগের নাগরদোলায় ছিলাম।কখনো আমি খুব উৎসাহ অনুভব করতাম। অন্য সময় নার্ভাস বা দুটোই।আমি আমার বাবার কথা মনে করে ও দুঃখ বোধ করতাম যিনি তার আগের বছর আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন, বিশেষ করে এটা মনে করে দুঃখ পেতাম যে উনি আমার সন্তানকে কখনোই দেখতে পাবেন না।আমাকে উপদেশ দেওয়া হয়েছিল প্রচুর কথা বলার জন্য। সুতরাং আমি প্রচুর কথা বলতাম। বন্ধুদের সাথে, পরিবারের সদস্যদের সাথে, চিকিৎসকের সাথে, যে বিষয় নিয়ে চিন্তিত সেটি নিয়ে কথা বলুন। এটি আমাকে খুবই সাহায্য করেছে।
কোন ধরণের রোগ সংক্রমণ সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত?
জল বসন্ত বা চিকেন পক্স এসময় মা এবং শিশু দুজনের পক্ষেই আশংকাজনক | আপনার যদি এটি আগে না হয়ে থাকে তবে ডাক্তার কে বলুন , এই রোগের সংক্রমণ ছোট ছেলেমেয়েদের থেকে খুব সহজেই ছড়াতে পারে | নিয়মিত হাত ধোবেন , বাচ্ছাদের সাথে খাবার ভাগ করে খাবেন না অন্য আরো কিছু এধরণের রোগ সংক্রমণ সম্পর্কে ডাক্তারের কাছে জেনে নিন |
আপনার ও শিশুর যত্ন নেবেন কিভাবে - আরও জানতে চান? ক্লিক করুন |
গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতা
গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতা আসলে কি?
গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতা কে প্রাক প্রসব বিষণ্ণতা ও বলা হয় যেটি একটি চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিস্থিতি ও এই পরিস্থিতি মা ও শিশু উভয়ের পক্ষেই ক্ষতিকারক।এটি আপনার আবেগ কে প্রভাবিত করে, আপনাকে দুঃখী ও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তোলে।
এই বিষণ্ণতার তীব্রতা অনেক সময় হালকা থেকে গম্ভীর দিকে পরিবর্তিত হয়। এটি জানা খুবই প্রয়োজনীয় যে এটি কোনো দুর্বলতা নয় এবং এটি খুব সহজে কমে বা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় না।যদিও সঠিক সাহায্য ও পদ্ধতির মাধ্যমে প্রাক প্রসব বিষণ্ণতার চিকিৎসা করা সম্ভব।
লক্ষণ গুলি হলো
-
- দুঃখ অনুভব করা, মন খারাপ থাকা বা প্রায় সময় কান্না পাওয়া,
- অন্য মানুষদের উপর বা পৃথিবীর যে কোনো বিষয়ের প্রতি অনাগ্রহী হওয়া,
- নেতিবাচক চিন্তা করা, যেমন আপনি আপনার বাচ্চা র সঠিক দেখাশোনা করতে পারবেন না,
- নিজেকে দোষী মনে করা, আশাহত হওয়া বা অন্যের সমস্যার জন্য নিজেকে দোষ দেওয়া,
- ঘুমাতে সমস্যা হওয়া বা অত্যাধিক ঘুম হওয়া,
- এনার্জির অভাব অনুভব করা,
- আত্মহত্যার কথা চিন্তা করা বা আত্মহত্যার চেষ্টা করা
- এটি সব সময় মনে রাখা দরকার যে গর্ভাবস্থায় মেজাজ এর পরিবর্তন খুব স্বাভাবিক। তার সাথে সাথে উপরে আলোচিত লক্ষণ গুলি অনেক সময় আপনি দেখা দেয় ও আপনি ঠিক হয়ে যায়।নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। আপনার অনুভূতি গুলি আপনার জন্য সঠিক কিনা সেটি বোঝার ক্ষমতা সব থেকে ভালো আপনার আছে।
- প্রতি ১০ জন মায়ের মধ্যে একজন মা প্রাক প্রসব বিষণ্ণতার শিকার।
নিজের যত্ন নেওয়ার অভ্যাসটি বিষণ্ণতাকে রোধ করতে সাহায্য করে
-
- গর্ভকালীন ব্যালেন্সড খাদ্যাভ্যাস মেনে চলুন।নিয়মিত খাবার ও জলখাবার আপনার সুগার লেভেল কে বাড়ায়, আপনার মেজাজকে স্থির রাখে।কফি , চিনি ও তৈরি রেডিমেড খাবার কে এড়িয়ে চলুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম আপনার মেজাজ ভালো রাখবে ও দুশ্চিন্তা কমাতে সাহায্য করবে।
- যথেষ্ট পরিমানে ঘুমান। চেষ্টা করুন রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমাতে।
- কিছু আরামদায়ক পদ্ধতি যেমন জোরে নিশ্বাস নেওয়া, ধ্যান বা যোগ ব্যয়াম করার অভ্যাস করুন।
- অন্যদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।একটি দলে যুক্ত হন বা বন্ধু, পরিবারের সদস্যদের সাথে আপনার অনুভূতি গুলি ভাগ করে নিন।
- নিজের জন্য সময় রাখুন।যে কাজ গুলি আপনি উপভোগ করেন সেগুলি করুন যেমন বই পড়া, স্নান করা বা হাটা।
- আপনি অন্যের পরামর্শ নিতে পারেন। জ্ঞানীয় আচরণগত থেরাপি ( কগনিটিভ বিহেভরিয়াল থেরাপি) ও আন্তঃব্যক্তিক থেরাপি ( ইন্টার পারসোনাল থেরাপি) যথাযথ ভাবে প্রসবপূর্ব ডিপ্রেসন কে কমাতে সাহায্য করে।
- আপনার চিকিৎসক বা পেশাদার স্বাস্থ্য পরিষেবা যিনি দিচ্ছেন তাদের সাথে কথা বলুন ও খেয়াল রাখুন আপনার জন্য সঠিক চিকিৎসা বা পরিষেবা যেন আপনি পান।
ওজন কি যথেষ্ট পরিমানে বাড়ছে
মানসিক স্বাস্থ্য তথ্য
Royal College of Psychiatrists
Disclaimer
Kushal's website provides health, fitness, and nutrition recommendations for informational purposes only. The information provided is not intended to be a substitute for professional medical advice, diagnosis, or treatment. If you have any health concerns, you should always check with your healthcare provider.