আপনার শরীরে পরিবর্তন
২৭ সপ্তাহ - কি হোতে পারে
আপনি এ সময় খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন , দিনের বেলা ঘুমের প্রয়োজন বোধ করছেন | কখনো কখনো বিরক্তি বোধ করছেন মেজাজ খিটখিটে , কথাবার্তায় অধৈর্য্য বা রূঢ়তা প্রকাশ পাচ্ছে | আপনার নিজের ও শিশুর সুস্থতা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ছেন | পায়ে ফোলা র জন্য জুতো বা চটি পড়তে অসুবিধে হচ্ছে | আপনার পেটের চারপাশে ত্বক শুষ্কতা , চুলকুনি এবং টান অনুভব করছেন |
গর্ভে সন্তান বৃদ্ধি
কত টা বাড়লো
শিশুটি এখন একটি বাঁধাকপির সমান ( লম্বায় প্রায় ৩৬ সেন্টিমিটার ওজন ৮৪০ গ্রাম )|
আপনার গর্ভে সন্তান বিকাশ
বিকাশ
শিশু র বিকাশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে | শিশুর ফুসফুস এখন নিশ্বাস প্রশ্বাস নিতে সক্ষম , শিশুর অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলি পরিণত হয়ে উঠছে , ত্বক আগের চেয়ে মসৃন , ওজনে এবং দৈর্ঘে চার সপ্তাহ আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন | শিশু এখন আপনার স্বামীর গলার আওয়াজ চিনতে পারছে| আপনি অতিরিক্ত ঝাল বা মসলাযুক্ত খাবার খেলে হেঁচকি তুলে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছে |
শরীর আর মনের যত্ন
পরামর্শ (টিপস)
- এসময় চিৎ হয়ে না শুয়ে পাশ ফিরে ঘুমোনো উচিত| অনেকে বাঁ দিকে পাশ ফিরে ঘুমোনোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন | চিৎ হয়ে শুলে মৃত শিশু প্রসবের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়| পা বালিশের উপর রেখে ঘুমোন |
- বেশিক্ষন একটানা বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না | পায়ের ফোলা অতিরিক্ত মনে হলে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন |
- অতিরিক্ত গরমে ঘামাচি বা ফুসকুড়ি থেকে আরাম পেতে ঠান্ডা জলপটি দিন |
- চোখে র নিচে ফোলা কমাতে শসার টুকরো কেটে চোখে র নিচে রাখুন , বিশেষ করে ঘুম থেকে ওঠার পরে মন ভালো রাখুন , ভালো চিন্তা করুন , মনে রাখবেন এ সময়ের এই অসুবিধে গুলি সাময়িক , শিশু জন্মানোর পর এগুলি সব চলে যাবে |
ডাক্তারের পরামর্শ নিন
জিজ্ঞেষ করেন
- কোনো কাজ করতে হাঁপিয়ে পড়ছি , একই সময় কথা বলতে অসুবিধে হচ্ছে , বুক ধড়ফড় করছে , এরকম হওয়াটা কি স্বাভাবিক ?
- পা এতো ফুলে যাচ্ছে যে চটি জুতো পড়তে পারছি না এরকম হওয়াটা কি স্বাভাবিক ?
- আমার ওজন যত টা বাড়া উচিত বেড়েছে কি ? আমার কি আরো কিছু সতর্কতা নেওয়া উচিত ?
- আমার কি কোনো বিশেষ ক্লাস এ যাওয়া উচিত যাতে প্রসব প্রক্রিয়া সহজ এবং নির্বিঘ্ন থাকে ?
কর্ম তালিকা
পয়েন্টস
- পাশ ফিরে শুতে ভুলবেন না
- আপনার পেটের কাছে এবং হাঁটুর মাঝখানে বালিশের ঠেস রাখুন ঘুমোনোর সময়
- আপনার ওজন এবং রক্তচাপ নিয়মিত নেবেন এবং নথিভুক্ত রাখবেন
- যোগাভ্যাসের কয়েকটা সহজ , আপনাকে আরাম দেবে এমন কিছু আসন শিখে রাখুন
- শিশুর পিতা কে বলুন শিশুর নড়াচড়া অনুভব করতে , আপনার পেটের উপর কান পেতে তার হৃদস্পন্দন শুনতে
গর্ভবতী মহিলাদের কীভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হয়, তা শিখতে সহায়তা করার জন্য সপ্তাহে একবার কুশল কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
আপনার মনে কী এই প্রশ্ন এসেছে ?
আমার সব সময় বদ হজমের অনুভূতি হয়। এটি আমি কি করে কমাতে পারি?
"আমার খ্যাদাভাস বদলানো আমাকে সাহায্য করে।আমি বাঁধা কপি, মূলো না খেয়ে পালং শাক ও গাজর বেশি খেতাম।আমি অনেকটা জল ও পান করতাম ও কিছু সময় পর পর স্বল্প পরিমাণ এ খাবার খেতাম।"
আপনি যদি গর্ভবতী হন ও বদ হজমের শিকার হন, আপনি একা নন।এই সময় হরমোনের পরিবর্তন ও ইউটেরাস এর বৃদ্ধি বদ হজমের কারণ হতে পারে। কিন্তু এই সময় কিছু পদ্ধতি আপনার লক্ষণ গুলো কমাতে সাহায্য করবে।
সারা দিনে ৩ বার বেশি পরিমান এ না খেয়ে, অল্প পরিমানে বার বার খাওয়াত চেষ্টা করুন। বেশি মসলাজাতীয়, তৈলাক্ত ও অ্যাসিড যুক্ত খাবার কে উপেক্ষা করুন। প্রচুর পরিমানে জল পান করুন যাতে আপনার শরীর টক্সিন মুক্ত থাকে যা আপনার হজমে সাহায্য করবে এবং খাওয়াত পর সোজা হয়ে কিছু ক্ষন বসুন।
হালকা পোশাক পড়ুন ও প্রাকৃতিক উপায়ে সমস্যার প্রতিকারের চেষ্টা করুন। যেমন আপনি আদা যুক্ত চা পান করতে পারেন বা পুদিনা যুক্ত তেল ব্যবহার করতে পারেন।
তার সাথে আপনি অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন আপনার জন্য নিরাপদ এন্টাসিড অথবা অন্য ওষুধ যদি উনি দিতে চান। মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় বদ হজম সাময়িক ও এটি প্রসবের পরে ঠিক হয়ে যায়। যদি আপনার লক্ষণ গুলি আরো কষ্ট দায়ক হতে থাকে, তবে অবশ্যই আপনার চিকিৎসককে বিষয়টি বিস্তারিত জানান ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
আমি এখন খুবই কম ধৈর্যশীল এবং সহজেই মেজাজ হারিয়ে ফেলি। এটা একদমই আমার স্বভাব নয়।
আপনি যখন গর্ভবতী তখন স্বজ্ঞাত ভাবে ব্যবহার করেন। কারণ আপনাকে আপনার নিজের ও আপনার সন্তানের খেয়াল রাখতে হচ্ছে। সীমানা নির্দিষ্ট করা খুবই ভালো। এটি পরবর্তীতেও খুবই সাহায্য করে ।
এই গুলি হরমোন পরিবর্তন এর খুবই সাধারণ লক্ষন।এখানে আপনার মেজাজ টি ঠিক রাখার জন্য ও আপনাকে আপনার পুরনো অনুভূতি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু উপায় বলা হলো: নিজের যত্ন নিন, পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান,কাজের মধ্যে থাকুন, প্রিয় মানুষদের সাথে কথা বলুন, মনোযোগী থাকার চেষ্টা করুন এবং সাহায্য চাওয়ার জন্য কখনোই ভয় পাবেন না।যদি আপনার লক্ষণগুলি আপনার প্রতিদিনের কাজে বা ব্যবহার এ সমস্যা তৈরি করে, তবে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন অতিরিক্ত সাহায্য ও সুবিধার জন্য।কখনোই ভুলবেন না, আপনি একা নন!গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতা আসলে কি?
গর্ভাবস্থায় বিষণ্ণতা আসলে কি?
জন্মের পরিকল্পনা কি
Stress and pregnancy
Department of Health, Australia
Disclaimer
Kushal's website provides health, fitness, and nutrition recommendations for informational purposes only. The information provided is not intended to be a substitute for professional medical advice, diagnosis, or treatment. If you have any health concerns, you should always check with your healthcare provider.