২৪ সপ্তাহে গর্ভাবস্তায় কি করা উচিত| আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া গর্ভাবস্থায় আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। এই পৃষ্ঠাটি পড়ুন। সুস্থতা এবং মানসিক স্বাস্থ্য টিপস পাবেন উপরন্তু, হুপিং কাশির জন্য আপনার টিকা নেওয়া দরকার কিনা তা জানুন। আপনার ওজন বৃদ্ধি সর্বোত্তম? পড়ে জানুন।
আপনার শরীরে পরিবর্তন
২৪ সপ্তাহ - কি হোতে পারে
শরীরে ব্যথা বেদনা? আপনার পেটে সন্তানযে খুব নাড়াচড়া করছে! আপনি খেয়াল হয়তো করেছেন আপনার ওজন বেড়েছে। বাচ্চার ওজন বাড়ার সাথে সাথে আপনার ওজনও বাড়ছে। লক্ষ্য হয়তো করেছেন নাভিটি প্রসারিত - পেট বড্ডোর সাথে হয়। আপনার ঘুম কমতে পারে আর সেক্সের প্রতি ইন্টারেস্ট কমেযায়। চিন্তা করবেন না. ইটা স্বাভাবিক।
গর্ভে সন্তান বৃদ্ধি
কত টা বাড়লো
২৪ সপ্তাহে গর্ভে সন্তান ৩০ সেনটিমিটার লম্বা এবং ওজন আন্দাজ ৫৭৫ গ্রাম |
আপনার গর্ভে সন্তান বিকাশ
বিকাশ
এই পর্যায়ে আপনার পেটে শিশুটি সঠিক সহায়তায় গর্ভের বাইরে বেঁচে থাকতে পারে! তবে, আপনার শিশুর এখনও আপনার গর্ভের প্রয়োজন। আরও তিন মাস পেটে লালনপালন করতে হবে। ২৪ সপ্তাহে হাত, পা এবং মাথা অনুপাতে। স্নিগ্ধ কণ্ঠে গান করলে বা পেটে হাত বলালে গর্ভে শিশু সাড়া দায়।
শরীর আর মনের যত্ন
পরামর্শ (টিপস)
- ঘুমের জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকারগুলি ব্যবহার করে দেখুন - যেমন গরম দুধ আর ধ্যান বা যোগ |
- চেষ্টা করেন হাতএর উপর মাথা রেখে না ঘুমোতে - যাতে কবজী না ফুলে যায় বা বেথা করে।
- পা সোজা রাখতে চেষ্টা করবেন। গোড়ালি এবং পদাঙ্গুলি বিজ্ঞপ্তি নড়াচড়া করার চেষ্টা করবেন।
- আপনার হাত পা যদি লাল হয় যায় বা চুলকোয় খুব - ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে রাখুন বা আইস প্যাক লাগান।
- শ্যাম্পু করার পরে এক চামচ নারকেল তেল আপনার চুলে ঘষুন - আপনার চুল সেট হয় থাকবে!
ডাক্তারের পরামর্শ নিন
জিজ্ঞেষ করেন
- আমার কি ডায়াবেটিস টেস্ট করা প্রয়োজন?
- সময় সময় চোখের দৃষ্টি ঝাপসা দেখি। ইটা কি স্বাভাবিক?
- আমার তলপেটে ব্যথা হয়। জ্বর জ্বর ভাব আর শীত করে. ইটা কি চিন্তার বিষয়?
- আমার যৌনাঙ্গের চারপাশে জ্বালা এবং সাদা স্রাব হচ্ছে। আমি কি করতে পারি?
কর্ম তালিকা
পয়েন্টস
- ফলিক অ্যাসিড, আইরন এবং ভিটামিন দৈনিক নিন।
- আপনার ডাক্তারের সাথে এন্টিনেটাল চেকউপ বেবস্থা করুন।
- গ্লুকোজ পরীক্ষা করুন।
- আপনার স্বামীর সাথে জন্ম পরিকল্পনা (Birth Plan) করার বিষয়ে আলোচনা করুন।
গর্ভবতী মহিলাদের কীভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হয়, তা শিখতে সহায়তা করার জন্য সপ্তাহে একবার কুশল কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
আপনার মনে কী এই প্রশ্ন এসেছে?
আমার ওজন কি যথেষ্ট পরিমানে বাড়ছে?
" একজন মায়ের সাথে অন্যজন মায়ের ওজনের পার্থক্য সব সময় থাকে একজন নারী সাধারণত গর্ভাবস্থায় ১০-১৪ কেজি ওজন বৃদ্ধি করে। দ্বিতীয় ট্রাইমেসটারে মায়েরা সাধারণত প্রতি সপ্তাহে ৪০০-৪২৫ গ্রাম ওজন বৃদ্ধি করে।যদি আপনার মনে হয়, আপনি যতটা ওজন আপনার বৃদ্ধি হওয়া উচিত, ততটা করতে পারছেন না, তবে আপনার চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন।আমি আমার ওজন বৃদ্ধির বিষয়ে আমার চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করেছিলাম।"
আপনার প্রথম প্রসব পূর্ব যাত্রায় আপনার চিকিৎসক ও তার সহকারীরা আপনার বডি মাস ইনডেক্স পরিমাপ করবেন। এবং আপনার সাথে পুষ্টি, আপনার ওজন বৃদ্ধি হওয়ার উপকারিতা ও শারীরিক ব্যায়াম এর উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করার সাথে সাথে অত্যাধিক ওজন বৃদ্ধির অপকারিতা নিয়েও আলোচনা করবেন।এটি একটি খুব ভালো পদ্ধতি আপনার গর্ভকালীন অবস্থাকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে।যতটা ওজন একজন মা তার গর্ভাবস্থায় বৃদ্ধি করেন, সেটি মা ও শিশুর বর্তমান ও ভবিষ্যতএর স্বাস্থ্য এর উপর প্রভাব বিস্তার করে
গর্ভাবস্থায় শরীর ও মনে যেসব পরিবর্তন ঘটে
আমার কি হুপিং কাশির জন্য ইনজেকশন নেওয়া প্রয়োজন?
"আমার দ্বিতীয় ট্রাইমেস্টারে আমাকে এই ইনজেকশন দেওয়া হয়েছিল।এই ভ্যাকসিন টি বাচ্চার জীবনের প্রথম করল সপ্তাহে সুরক্ষা দেয়।এটি মা ও শিশুর জন্য খুবই নিরাপদ।আপনি এই বিষয়ে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করুন।
হুপিং কাশি শিশুদের জন্য একটি মারাত্মক অসুখ।দুর্ভাগ্যবশত শিশুরা এই রোগটির থেকে নিজেদের সুরক্ষিত করতে পারেনা যতক্ষণ না তার ২ মাস বয়সে তাকে হুপিং কাশির ভ্যাকসিন টি দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক দুইমাস শিশুরা অসুরক্ষিত থাকে ও তাদের মারাত্মক রকমের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যদি যাদের হুপিং কাশি হয়ে থাকে।
মায়েরা তাদের সন্তানদের জন্মের আগের থেকে এই রোগটির থেকে সুরক্ষিত রাখতে পারে । আপনার চিকিৎসক বা নার্সের সাথে আলোচনা করুন হুপিং কাশির ভ্যাকসিন টি নেওয়ার জন্য।
আমাদের সাপ্তাহিক গাইডের সাথে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকুন।
WEIGHT GAIN
Mayo Clinic, USA
WHOOPING COUGH
Centres for Disease Control, USA
Disclaimer
Kushal's website provides health, fitness, and nutrition recommendations for informational purposes only. The information provided is not intended to be a substitute for professional medical advice, diagnosis, or treatment. If you have any health concerns, you should always check with your healthcare provider.