কোভিড আক্রান্ত মা কি তার শিশু কে বুকের দুধ খাওয়াতে পারে ?

এরকম অবস্থায় শিশুর পক্ষে তার মায়ের দুধের উপকারিতা অনেক বেশি , বিশ্ব স্বাস্থ্য সংগঠনের (WHO)মত অনুসারে শিশুর জন্মলাভের পর প্রত্যেক কোভিড আক্রান্ত বা সংক্রমণের আশংকা আছে এমন মায়েদের তাঁদের শিশুকে
মাতৃ সান্নিধ্য বা বুকের দুধ খাওয়ানো একান্ত প্রয়োজনীয় | যেকোনো সামাজিক বা অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতেই মায়ের বুকের দুধ শিশুর তখনকার এবং ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য এবং সংক্রমণ থেকে নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য | কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন এমন মায়ের বুকের দুধে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায় নি , বা বুকেরদুধ খাওয়ানোর কারণে মায়ের থেকে শিশুর সংক্রামণের কোনো প্রমান ও পাওয়া যায় নি | এ সম্পর্কে আরো জানতে চাইলে WHO ওয়েবসাইট দেখতে পারেন |

সবসময় কি বাড়িতে মাস্ক পরা উচিত?

  • একটি মাস্ক কতবার ব্যবহার করা যেতে পারে?
  • মাস্ক ব্যবহার করলে কি গর্ভবতী মহিলা এবং তার অনাগত সন্তানের অসুবিধা হতে পারে?
  • আমরা কতক্ষণ মাস্ক পরতে পারি?বেশিক্ষণ মুখ ঢেকে রাখতে পারি না। শ্বাসকষ্ট এবং উদ্বেগ সৃষ্টি করে। আমার কি করা উচিৎ?

না ।

কিন্তু বাড়িতে যদি আপনার পরিবারে কোন সদস্য কোভিড আক্রান্ত হয় থাকেন, তাহলে অবশ ওনার নৈকট্য মাস্ক পড়া উচিৎ |

আপনি যদি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয় থাকেন বাড়িতে অন্য সদস্য নৈকট্য আপনার মাস্ক পড়া জরুরি যাতে বাড়ির অন্যান্য সদস্য আক্রান্ত না হয় থাকেন।

 

বারবার স্যানিটাইজার ব্যবহার করলে কি কোন ক্ষতি হতে পারে? ক্যান্সার হতে পারে?

স্যানিটাইজার ব্যবহার –

প্রধান সময়গুলিতে যখন আপনার জীবাণুতে আক্রান্ত হওয়ার ও ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তখন ঘন ঘন আপনার হাত ধোওয়ার মাধ্যমে আপনি নিজেকে ও আপনার প্রিয়জনকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করতে পারেন | জেমন –

  • খাবার তৈরির আগেসময়েএবং পরে
  • খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে
  • বমি বা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত এমন কাউকে বাড়িতে সেবা করার আগে  পরে
  • একটি কাটা বা ক্ষত চিকি সার আগে  পরে
  • টয়লেট ব্যবহারের পরে
  • নাক ঝাড়াকাশা বা হাঁচার পরে
  • একটি প্রাণীপ্রাণীর খাবারবা প্রাণীজ বর্জ্য স্পর্শ করার পরে
  • পোষা প্রাণীর খাবার বা পেট ট্রিটস নাড়াচাড়ার পরে
  • আবর্জনা স্পর্শ করার পরে

Source:CDC, USA

বারবার ব্যবহারের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। অত্যধিক ব্যবহার করলে – শুষ্ক, ফাটা ত্বকও এবং লালভাব বা ফুসকুড়ি হতে পারে।

আমার শিশুর মাস্ক পরা উচিত কিনা? বাচ্চারা মাস্ক পরলে কি কোন সমস্যা হয়?

শিশুর মাস্ক পরা উচিত কিনা – হ্যাঁ, 2 বছর বা তার বেশি বয়সী সকল শিশু নিরাপদে মাস্ক পরতে পারে।
এমনকি বিরল স্বাস্থ্যগত অবস্থার শিশুরাও।
বিরল ব্যতিক্রম থাকতে পারে ।

২ বছরের কম বয়সী শিশুদের মাস্ক পরা উচিত না ।

Source: American Academy of Pediatrics (2020)

কোবিদ আক্রান্ত মা থেকে তার চাইল্ড কেও দূরে রাখা দরকার?

উদ্বিগ্ন না হয়ে কয়েকটি ব্যাপারে সতর্ক হয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

আক্রান্ত মাকে আইসোলেশনে রাখুন |

পরিবারের কেউ আক্রান্ত হয়েছেন বুঝলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে বাড়ির অন্যদের দূরত্ব নিশ্চিত করুন।

পরিকল্পনা করে ফেলুন

পরিবারে যখনই কোন একজন ব্যক্তি সংক্রমিত হবেন, আতংকিত হয়ে না পড়ে দ্রুত একটি পরিকল্পনা করে ফেলতে হবে, যাতে পরিবারের বাকি সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সেবা যথাযথভাবে দেয়া যায়।

কিছু তথ্য

মা থেকে সন্তানের সংক্রমণ – যদি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হই, তাহলে কি এটি আমার কাছ থেকে আমার সন্তানের শরীরে যাবে?

কোনো প্রেগন্যান্সি মা এর যদি কোবিদ হয় তাহলে তার কোনো ইফেক্ট কি গর্ভের বাচ্চার ওপর পরে?

গর্ভাবস্থায় মায়ের থেকে তার শিশুর মাঝে ভাইরাসটি সংক্রমিত হয় কিনা তা আমরা এখনও জানি না।  “ভ্যাজাইনাল ফ্লুইড, গর্ভনালী বা মায়ের বুকের দুধে কোভিড-১৯ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি, যদিও এবিষয়ে এখনও অনেক তথ্য আসছে।” এছাড়া এখন পর্যন্ত অ্যামনিওটিক ফ্লুইড বা গর্ভফুলেও কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি শনাক্ত করা যায়নি | UNICEF

প্রেগন্যান্সি তে কি খেলে ভালো হয়? প্রেগন্যান্সি অবস্থায় কি খাবার বেশি করে খাওয়া উচিত ?

ভাল সুষম খাদ্য !

  1. গর্ভাবস্থায় আপনাকে দিনে একটি অতিরিক্ত খাবার খেতে হবে।
  2. দুধ এবং দুগ্ধজাত দ্রব্য যেমন দই, বাটার মিল্ক নিন, পনির-এগুলি ক্যালসিয়াম, প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ।
  3. তাজা/মৌসুমী ফল এবং শাকসবজি খান যেমন এগুলি সরবরাহ করে ভিটামিন এবং আয়রন
  4. খাদ্যশস্য, গোটা শস্য এবং ডাল হয় প্রোটিনের ভালো উৎস।
  5. সবুজ শাক সবজি আয়রন এবং ফলিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস।
  6. এক মুঠো (45 গ্রাম) বাদাম এবং অন্তত দুই কাপ ডাল
  7. নিরামিষাশীদের প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা সরবরাহ করে।
  8. আমিষভোজীদের জন্য মাংস, ডিম, মুরগি বা মাছ ভালো উৎস প্রোটিন, ভিটামিন এবং আয়রন।Booklet for expecting mothers – National Health Mission, GOI

ANC চেক আপ – প্রেগন্যান্সি তে কি কি পরীক্ষা করানো দরকার?

NHM, ভারত সরকারের নির্দেশিকা চারটি প্রসবপূর্ব চেক আপ অপরিহার্য।

1ম ANC চেক আপ – যত তাড়াতাড়ি পিরিয়ড মিস হয় বা পিরিয়ড মিস হওয়ার প্রথম তিন মাসের মধ্যে।
২য় ANC চেক আপ – গর্ভাবস্থার ৪র্থ থেকে ৬ষ্ঠ মাসে।
3য় ANC চেক আপ – গর্ভাবস্থার 7 থেকে 8 তম মাসে।
4র্থ ANC চেক আপ – গর্ভাবস্থার 9ম মাসে।

পরীক্ষা –

  1. প্রস্রাব পরীক্ষা – অ্যালবুমিন এবং চিনি
  2. আপনার ওজন পরীক্ষা করু | (গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি 9 -11 কেজি)
  3. রক্ত পরীক্ষা – হিমোগ্লোবিন (রক্তশূন্যতার জন্য)
  4. আপনার রক্তচাপ পরীক্ষা করুন – উচ্চ রক্তচাপ আপনার এবং আপনার শিশু জন্য বিপজ্জনক হতে পারে ।
  5. ভ্রূণের বৃদ্ধি মূল্যায়নের জন্য পেট পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ |
  6. এক মাসের ব্যবধানে T.T. ইনজেকশনের দুই ডোজ।